টেকনাফ প্রতিনিধি
বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার অতন্দ্র প্রহরী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সীমান্তাঞ্চলে মাদক ও চোরাচালান দমনে এই বাহিনী সর্বদা অঙ্গীকারাবদ্ধ। যার ধারাবাহিকতায়, আজ ০৯ জুলাই ২০২৫ তারিখ টেকনাফ ব্যাটালিয়নের সাড়াশি অভিযানে আসামীসহ বিপুল পরিমান অবৈধ মাদক জব্দ করা হয়েছে। এ সাফল্য, বিজিবির মাদকবিরোধী অঙ্গীকারের দৃঢ় বহিঃপ্রকাশ।গোপন সূত্রে জানা যায় যে, চোরাকারবারীরা মায়ানমার থেকে সাগরপথে মাদকের একটি বড় চালান টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের হাতিয়ার ঘোনা করাচিপাড়া এলাকার গহীনে পাহাড়ি অঞ্চল সংলগ্ন একটি বসতবাড়িতে গোপনে লুকিয়ে রেখেছে। পরবর্তীতে, ২ বিজিবি'র নিজস্ব গোয়েন্দারা নিশ্চিত করেন যে, করাচিপাড়ার সোনা মিয়ার বাসায় গোপনে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করা হচ্ছে। কালক্ষেপন না করে, টেকনাফ ব্যাটালিয়ন অধিনায়কের নেতৃত্বে চোরাকারবারীদের ধরতে বিজিবি’র বেশ কয়েকটি বিশেষায়িত দল গভীর রাতে করাচিপাড়াকে ঘিরে ফেলে অভিযান চালায়। এ সময়, আনুমানিক ০১২০ ঘটিকায় লেঃ কর্ণেল সাদিক রাফি ও তার টহল দলটি সোনামিয়ার বাড়িতে তল্লাশি করে ৮১,৩৫৫ (একাশি হাজার তিনশত পঞ্চান্ন) পিস ইয়াবাসহ একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সমর্থ হয়। তবে, অভিযানকালে বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে সোনা মিয়া পাহাড়ে পালিয়ে যায়। অভিযান শেষে সোনা মিয়ার স্ত্রীকে মাদক ও নগদ ১,০১,৯৭০/- টাকাসহ প্রচলিত আইন অনুযায়ী টেকনাফ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। ধৃত ও পলাতক আসামীরা হলো) রুজিনা আক্তার (৩৯), পিতা-ফরিদ আহমদ, গ্রাম-হাতিয়ার ঘোনা, পোস্ট-মিঠাপানিরছড়া, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার।
(২) সোনা মিয়া (৩৭), পিতা-মৃত আব্দুর রশিদ, গ্রাম- গ্রাম-হাতিয়ার ঘোনা, পোস্ট-মিঠাপানিরছড়া, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার।
৩। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ দেশের সীমান্ত নিরাপত্তা, মাদক নির্মূল এবং সকল অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধে জিরো টলারেন্স নীতি বজায় রেখে অত্যন্ত পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতেও জাতীয় নিরাপত্তা ও জনস্বার্থে এ ধরনের বিশেষ অভিযান অব্যাহত থাকবে।