সম্প্রতি ইসলামী ব্যাংক পিএলসি থেকে চাকরিচ্যুত হওয়া ৫৫০০ কর্মকর্তার পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন।
আজ শুক্রবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে নিজের ভ্যারিফাইড ফেসবুক পোস্টে তিনি এই ঘোষণা দেন।
তাঁর দেওয়া পোস্টটি হুবহু পেকুয়ার আলো পাঠকদের জন্য নিম্নে তুলে ধরা হলো।
পোস্টে তিনি লেখেন— “ইসলামী ব্যাংকে কর্মরত ৫,৫০০জন কর্মকর্তা প্রহসনমূলক পরীক্ষার মাধ্যমে Probationary Officer থেকে নাই হয়ে গেছে! মানে ৫৫০০টি পরিবারের খাবার প্লেট মুহুর্তের মধ্যে কেড়ে নেওয়া হলো!!
ভাবতে অবাক লাগছে তাই-না?
হ্যাঁ, এটাই সত্যি।
একটু আগে ইসলামী ব্যাংকে কর্মরত এক ভাই কল দিয়ে জানালো ওনার পরীক্ষার হল পড়েছিল ‘উদয়ন উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাবি ক্যাম্পাস’ কিন্তু তিনি পরীক্ষা দিতে যান নাই। কেন যাবেন?
যে ব্যাংকে চাকরি করার জন্য আপনি IBA (DU) থেকে করা প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়েছেন। অলরেডি ৬-৭ বছর চাকরি ও করে ফেলছেন। এতোদিন পরে এসে আপনি আবার নাটকে অংশ নিবেন কেন??
অনেকে এমন আছেন যিনি বর্তমানে পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি, আবার অনেকে নতুন বিয়ে করেছে, কারো বা সন্তান সদ্য ভূমিষ্ট হয়েছে!
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অমান্য করে এমন জোর-জবরদস্তিমূলক পরীক্ষা চাপিয়ে দিয়েছে একটা গোষ্ঠী। শুধু তাই-না অলরেডি উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাকে জিম্মি করে নিজেদের ডাবল পদোন্নতি নিয়ে ফেলেছে!
আর তারা দাবি করছে আমরা এস আলম থেকে ইসলামী ব্যাংককে পুনরুদ্ধার করছি, অথচ এখনো তাদের শেয়ার মাত্র ১৫-২০%।
এর মধ্যে এই অবস্থা!!
যদি এস আলমের মতো সত্যি সত্যি ৮০% শেয়ারের মালিক হতে পারে তাহলে অবস্থা কি হবে একবার অনুমান করেন?
তারাই আবার জনগণকে আশ্বাস দেয়: আমরা ক্ষমতায় আসলে বেকারত্ব থাকবেনা, আমরা ক্ষমতায় আসলে একহাতে সার্টিফিকেট আরেক হাতে চাকরি, আমরা ক্ষমতায় আসলে বেকার ভাতা চালু করবো!
অতএব, এটা নিশ্চিত থাকুন তারা ক্ষমতায় আসলে তারা যা বলবে সেই অনুযায়ী আপনাকে চলতে হবে! আর আমরাও সেই দিনের অপেক্ষায়।
কোনো রকম কিন্তু ছাড়া আমি ইসলামী ব্যাংকের মজলুম ভাইদের সাথে আছি।”
পোস্ট দেওয়ার ২ ঘণ্টার মধ্যে প্রায় ১০০০ শেয়ার হয়েছে। অধিকাংশ কমেন্টকারী ব্যারিস্টার মীর হেলালকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
এছাড়া চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি যেন ফিরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করে সে আবেদনও করেছেন কেউ কেউ।