কক্সবাজারের বাঁকখালীকে দখলমুক্ত করতে ৫ দিনের উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে বেশ কয়েকটি স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়ে উদ্ধার করা vহয়েছে ২ একর জমি। তবে নদীর সম্পূর্ণ জায়গা দখলমুক্ত করার আগ পর্যন্ত এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
বাঁকখালী নদী, যার তীর দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে একের পর এক স্থাপনা। এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে কার্যক্রম শুরু করেছে প্রশাসন। সোমবার সকাল ৯টায় উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করার কথা থাকলেও, কিছু দেরি হয়। প্রথমে কাগজপত্র নিয়ে জমির মালিকরা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করলেও বন্ধ করতে পারেননি উচ্ছেদ কার্যক্রম। যৌথবাহিনীর সহায়তায় বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হয় স্থাপনা।
তবে, স্থানীয়দের দাবি, হঠাৎ উচ্ছেদ কার্যক্রমে বিপাকে পড়েছেন তারা।
বাঁকখালী নদী দূষণ ও দখলমুক্ত করেতে সরকারকে চার মাসের সময় বেঁধে দেয় হাইকোর্ট। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত শনিবার নৌপরিবহন উপদেষ্টা কক্সবাজার এসে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন। উচ্ছেদের প্রথম দিনে ২ একর জমি দখলমুক্ত করা হয়েছে বলে জানায় বিআইডব্লিউটিএ।
বিআইডব্লিউটিএ’র পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দিন বলেন, বাঁকখালী নদীর অবৈধ দখল উচ্ছেদ কার্যক্রম টানা ৫ দিন চলবে। অভিযানের প্রথম দিন বেশ কিছু অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ২ একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নিজাম উদ্দিন আহমেদ দৈনিক পেকুয়ার আলোকে বলছেন, নদী সম্পূর্ণ দখলমুক্ত করার আগ পর্যন্ত এ উচ্ছেদ কাযর্ক্রম অব্যাহত থাকবে।
বিআইডব্লিউটিএ-এর তথ্যমতে, ১৮৮ জনেরও বেশি বাঁকখালী নদীর তীরে অবৈধ দখলদার রয়েছেন।
খবর বিভাগঃ
কক্সবাজার।