পটুয়াখালীতে একটি সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আসামিকে জামিন দেওয়ার জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নীলুফার শিরিনকে ঘুষ দেওয়ার চেষ্টায় ধরা পড়েছেন আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. রুহুল আমিন সিকদার। এ ঘটনার পরপরই জেলা আইনজীবী সমিতি তার প্রাথমিক সদস্য পদ স্থগিত করেছে।
গতকাল বুধবার (২০ আগস্ট) সকালে আসামির জামিনের জন্য বিচারকের বাসায় ৫০ হাজার টাকার একটি খাম ও মামলার নথিপত্র পাঠান ট্রাইব্যুনালের পিপি রুহুল আমিন সিকদার। এ ঘটনার পর বিচারক ঢাকা বার কাউন্সিলের সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) দুপুরে জরুরি সভার আয়োজন করে জেলা আইনজীবী সমিতি। সভায় সকলের সম্মতিক্রমে রুহুল আমিনের প্রাথমিক সদস্য পদ স্থগিত করা হয় এবং তাকে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারক লিখিত অভিযোগে জানান, এর আগেও পিপি রুহুল আমিন এই মামলায় দুই নম্বর আসামি মো. শাহাবুদ্দিন মুন্সীর (৫৫) জামিনের জন্য তার কাছে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠিয়েছিলেন। তিনি কোনো উত্তর না দিলেও সরাসরি বাসায় ঘুষ পাঠানোয় তিনি অপমানিত বোধ করেছেন ও ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
খবর বিভাগঃ
পটুয়াখালী