কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের চলাচলের একমাত্র প্রধান সড়ক,যেখান দিয়ে চলাচল করে এই ইউনিয়নের বেশির ভাগ মানুষ । দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে দ্বিতীয় সাব-মেরিন নৌ-ঘাটি এই ইউনিয়ন অবস্থিত অথচ এখানকার মানুষগুলোর হাটাচলার রাস্তা হওয়া দরকার ছিলো কত উন্নত। দায়িত্বশীলদের অবহেলার কারনে মগনামার যোগাযোগ ব্যবস্থা এখন রাস্তা নামের নালা দিয়ে প্রতিদিন ছোট কাটো দূর্ঘটনা হয় এই রাস্তা দিয়ে।এই ইউনিয়নে দায়িত্ব এখন চেয়ারম্যান নেই যে দায়িত্বে আছে উনি তো আর টমটম আর সিএনজি করে চলাচল করে না উনি চার চাকার গাড়িতে যাতায়াত করে কষ্ট ওনার হয় না।
এই রাস্তাটি ফুলতলা স্টেশন বা বিসমিল্লাহ রোড এর মাথা থেকে মগনামা উচ্চ বিদ্যালয় হয়ে কইড়া বাজার পর্যন্ত। প্রথম ধপে রাস্তাটি খোলা হয়েছিল মিয়াজিপাড়া থেকে বেদরবিল পাড়া পর্যন্ত। ঠিকাদার কোন মতে মেগাডম এর কাজ শেষ করে লাপাত্তা হয়েছে।
সিসি ঢালায় আর হয়নি এখন বর্ষাকালে রাস্তাটি মনে হয় একটি পানি চলাচলের ড্রেইন বা নালা। এখানকার মানুষ টমটম এবং সিএনজি নিয়েই উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে।দিনে যারা একবার এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে তাদের তিন দিন গায়ে ব্যথা থাকে। এবার চিন্তা করুন যারা অসুস্থ, মহিলা এবং শিশু-কিশোর আছে তাদের কি অবস্থা হয়।
দীর্ঘ এক বছর হয়ে গেছে রাস্তাটি এই অবস্থায়, উপজেলা প্রকৌশলী থেকে শুরু করে জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী কারো কাছে বিষয়টি অজানা নয়। অতি মেধাবী এই ঘুষখোর পেকুয়া উপজেলায় যতদিন থাকবে ততদিন মগনামার মানুষকে কষ্ট পেতে হবে।
মগনামায় এখন কোন জনপ্রতিনিধি নাই, তাই যারা পরিবর্তে দায়িত্ব পালন করছে তারা চার চাকার বড় গাড়িতে যাতায়াত করেন তাও কদাচিৎ। উনারা যদি সপ্তাহে একবার হলেও মগনামায় আসতেন সিএনজি বা টমটম নিয়ে তাহলে এই জনপদের মানুষের দূর্দশা বুঝতে সক্ষম হতেন।